হজ প্যাকেজে যেসব সুবিধা থাকছে
দেশ থেকে আগামী বছর যারা হজে যেতে চান তাদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
হজ পালনের জন্য এ দুটি প্যাকেজের একটি কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আর অন্যটি কাবা শরিফের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য।
পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এটি গতবারের চেয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা কম।
প্রসঙ্গত, সরকার আগেই জানিয়েছে যে হজ ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত নয় এমন কাউকে সরকারি খরচে আর হজে নেয়া হবে না। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হজ প্যাকেজ-১ এ এবার ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কম খরচ ধরা হয়েছে।
আর প্যাকেজ-২ এ খরচ কমেছে প্রায় এগারো হাজার টাকা। এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দশ হাজার জন নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এ যারা যাবেন তাদের জন্য মক্কায় হারাম শরীফের বহিঃচত্বর হতে তিন কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মসজিদে নববী হতে সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মক্কায় হারাম শরীফ যাতায়াতের জন্য থাকবে বাসের ব্যবস্থা।
এই প্যাকেজটিতে মিনায় তাবুর অবস্থান হবে গ্রিন জোনে (জোন-৫) এবং মিনা-আরাফায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস পাওয়া যাবে। সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ মক্কায় হারাম শরীফের বহিঃচত্বর হতে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মার্কাজিয়া এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
উভয় প্যাকেজের হজ যাত্রীদের জন্য মক্কার হোটেল কিংবা বাড়ি হতে বাসযোগে মিনার তাঁবুতে এবং মিনা-আরাফাহ-মুযদালিফা-মিনা ট্রেনযোগে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, মিনা এবং আরাফায় মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার পরিবেশন করা হবে।
দুটি প্যাকেজেই মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেলে এটাচড বাথরুমসহ প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। হোটেলে থাকবে রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা। এছাড়া হজযাত্রীদেরকে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ২০২৫ সনের ৫ই জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজব্রত পালনের সুযোগ পাবেন।