সোহাগের কারণে বিপাকে সালাউদ্দিন!
সাদাকালো নিউজ
আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। সঙ্গে জরিমানা দিতে হবে ১২ লাখ টাকা। এ নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গন। চরম বিব্রতকর এই ঘটনায় সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের দিকে আঙ্গুল তুলছে মানুষ।
সব বিষয় নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন এমন হয়েছে। খামখেয়ালি নাকি অন্য কিছু। তাদের আলস্য আমি যদি জানতাম তাহলে এসব বরদাস্ত করতাম না।
পানির পাইপ স্থাপনে অনিয়মের প্রমাণের বিষয়ে সালাউদ্দিনের ভাষ্য, তিনি জানেন না কীভাবে টেণ্ডার করা হয়, কীভাবে টাকা দেয়া হয়। সবকিছু সাধারণ সম্পাদকসহ বাকিদের দায়িত্ব। এমনকি নারী ফুটবল দলের জন্য বাস কেনার কথাও জানেন না সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন বলেন, কেনা কাটার জন্য রয়েছে ক্রয় কমিটি। তিনজনের মধ্যে দুজনের সাক্ষর লাগে চেকে। আমি স্বাক্ষর করেছি অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম মোর্শেদির স্বাক্ষরের পর।
ফিফার সিদ্ধান্তের আভাস আগেই পেয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, তারা যখন জুরিখে গেল, আমি একশো ভাগ নিশ্চিত ছিলাম তারা সাজা পেতে যাচ্ছে। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে।
বাফুফের অডিট কি আসলেই ত্রুটিপূর্ণ ছিলো- এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেন, একাউন্টে ত্রুটি আছে, এমন কথা ফিফা বলেনি। তারা বেলেছে সিস্টেম ত্রুটিপূর্ণ। তারা আমাকে দশ টাকা দিলে সেটা একাউন্টে আছে। কিন্তু তারা সিষ্টেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমিও একমত সিষ্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে।
ফিফার ফান্ড অপব্যবহার ও অনিয়ম নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, এ বিষয়ে আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। আমি আমার নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি, কারণ আমার কোন সুবিধা বা অসুবিধা নেই এখানে বসার। বাফুফের সবাই সবকিছু শতভাগ জানে।
বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, কিছিই বলতে পারছি না। ২০২৪ পর্যন্ত আমার এই দায়িত্বে থাকার রায় আছে। আশা করছি- ফিফা থেকে ফান্ড পেতে কোন সমস্যা হবে না। তারা বাফুফের একাউন্ট নিয়ে খুশি আছে কারণ তারা ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত খতিয়ে দেখেছে। তবে ফুটবল ইভেন্টের স্পন্সর পেতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
সবশেষ বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমি মানুষদের জন্য সালাউদ্দিন বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রধান হিসেবে সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিচ্ছি।