সব হারিয়েও যিনি নিবেদিত প্রাণ
সাদাকালো নিউজ
বাঙালির মুক্তির প্রাণ ভোমরাকে ৭৫’এ থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো ঘাতকরা। কিন্তু ইতিহাসের প্রয়োজন কিংবা বাংলা নামক দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ন্তা হতে হয়তো সুদূর পরভুম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন বাংলার দুখিনি দুই বোন। তাদেরি একজন শেখ রেহানা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার শুভ জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। ৬৭ বছর পেরিয়ে এবার ৬৮তে পা রাখলেন তিনি। শেখ রেহানা লন্ডনপ্রবাসী। তবে বেশিরভাগ সময় তিনি দেশেই কাটান। সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত না হয়েও দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ রেহানা। দলটির নেতাকর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে শেষ করে দেয়। এ ঘটনার কিছুদিন আগে শেখ রেহানা বড় বোন শেখ হাসিনারসঙ্গে জার্মানি যান। তখন শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানির কার্লসরুইয়ে। এ কারণে প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। পরে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন দুই বোন। শেখ রেহানা পরে পরিবার নিয়ে লন্ডনে বসবাস শুরু করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও সক্রিয় রাজনীতির সামনের সারিতে আসেননি শেখ রেহানা। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংকটে বড় বোন শেখ হাসিনার পাশে থেকে সহযোগিতা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে শেষ করে দেয়ার বিচারের দাবিতে বিদেশে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন শেখ রেহানা।