সত্যি কি ঐশ্বরিয়ার সংসার ভাঙছে, কোটি টাকার প্রশ্নের জবাব পরিচালকের কাছে
এ মুহূর্তে বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা সমালোচনা। তারা নাকি একে ওপরকে ডিভোর্স অবধি দিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ বলছেন তৃতীয় ব্যক্তির আগমন, তথা অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে ছোট বচ্চনের প্রেমসম্পর্ক। যদিও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। কিন্তু তাদের নিয়ে চুপ নেই নেটিজেনরা।
এদিকে বলিউড এ তারকা দম্পতিকে নিয়ে একমুহূর্তও আলাদা থাকতে দেখেননি। তাই তার বিশ্বাস, যা রটেছে তা মোটেই ঘটবে না বলে জানিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা নিখিল দ্বিবেদী। কোনো দিনই অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার সংসার ভাঙবে না বলেও জানান তিনি।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, অভিষেক ও ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে সকাল হলে বলি টাউনে ফিসফাস, এই বুঝি ভাঙল। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলে অন্য কথা— আজ টিকে গেল, কাল কী হবে? এভাবেই সকাল থেকে রাত হয়ে পরের দিন সকাল— অভিষেক বচ্চন-ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিয়ে ভাঙার খবরে তোলপাড় বিনোদন দুনিয়া।
আবার ‘দশভি’ ছবিতে অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে পর্দা শেয়ার করার সুবাদে পরকীয়ার কাঠগড়ায় অভিষেক। যাবতীয় সহানুভূতি বচ্চনবধূকে ঘিরে। তার মধ্যেই পরিচালক- অভিনেতা নিখিল দ্বিবেদীর বড় ঘোষণা দিলেন—অভিষেক-ঐশ্বরিয়া আলাদা হতেই পারেন না।
ভিত্তি কী, কেন এত জোর গলা, কীসের জোরে তারকা দম্পতির হয়ে এত বড় কথা বললেন নিখিল দ্বিবেদী?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পরিচালক সামনে এনেছেন তার অতীত অভিজ্ঞতা। স্মৃতি হাতড়ে উদাহরণ তুলে ধরেছেন বিয়ের পরও তারকা দম্পতির একসঙ্গে কাটানোর নানা মুহূর্ত।
নিখিল বলেন, কাজ করার সুবাদে দুজনকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। তার সেই অভিজ্ঞতা বলছে— আজীবন তারা একে অন্যের হয়েই কাটাবেন।
পরিচালক বলেন, যখন অভি-অ্যাশ একসঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করতেন, তখন সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকতেন। কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটিতেও মেতে থাকতেন। কখনো মুখ ভার করে পরস্পরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন না। এবং তাদের সেই একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তের সাক্ষী— উভয়েই উভয়কে মন থেকে ভালোবেসেই থাকেন, লোকদেখানো নয়।
নিখিল বলেন, নিন্দুকেরা যা খুশি রটাক, তিনি মানেন না। তার বিশ্বাস— সময়ে তিনিই যে সত্যি, প্রমাণিত হবেন। তিনি বলেন, খুব শিগগির ফের জুটি বেঁধে পর্দায় আসতে চলেছেন অভি-অ্যাশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নেটিজেনরাও ভাবছেন— এক সেটে একসঙ্গে কাজের সূত্রেই অবশেষে চর্চিত দূরত্ব মুছবে? বলিউড আপাতত সব সম্ভাবনা সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছে।