সংসারের হাল ধরতেই ডিপোতে চাকরি নেন অলিউর
সাদাকালো নিউজ
অলিউর রহমানের মায়ের দেয়া নাম নয়ন। পরিবারের বড় সন্তান, বাবা দিনমজুর। সংসারে অভাব থাকায় পড়ালেখা করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। সংসারের হাল ধরতে এলাকার বড় ভাইদের সহায়তায় চাকরি নেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে। সেখান থেকে যা আয় করতেন পাঠিয়ে দিতেন গ্রামে বাবার কাছে।
শনিবার (০৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের ঘটনাটি নিজের ফেসবুকে লাইভ করছিলেন অলিউর। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ করে বড় ধরনের শব্দ হয়। তাঁর হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। কয়েক মিনিট পর লাইভও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ডিপোর বাইরে থাকা সহকর্মীরা খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
নয়নের চলে যাওয়ার খবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ আর আহাজারি করছেন। স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে এসেছে।
জানা যায়, নয়নের মায়ের কয়েক বছর আগে অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এরপর বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। নতুন মা ও বাবার সঙ্গেই বসবাস করতেন নয়ন। ফটিগুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি ও কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এরপর সংসারে অভাবের কারণে পড়ালেখা বাদ দিয়ে চাকরিতে যায়। মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করত। তাই দিয়ে সংসার চলত তাদের।