শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে দেশের মাটি
সাদাকালো নিউজ
ক্রিকেটে স্টেডিয়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উইকেট। এই উইকেট তৈরিতে মাটির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে বিদেশ থাকা আনা হয় মাটি। প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের উইকেট দেশের মাটিতে তৈরি করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
এমনটি জানিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কর্মযজ্ঞ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেশের মাটিতে উইকেট তৈরির কথা জানান মাহবুব।
তবে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের উইকেট প্রথমবার দেশের মাটিতে তৈরি হচ্ছে না। এর আগে সিলেট-বগুড়ার উইকেটও দেশের মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে।
‘সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আমরা এখানকার কোনো ভালো মাটি পাই, যেটা দিয়ে উইকেট করা যায়। এটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি যে এটা সম্ভব। যদি আমাদের সিলেটের উইকেট দেখেন, বগুড়ার উইকেট দেখেন, মিরপুরেও চাইলে বিভিন্ন ধরনের উইকেট প্রস্তুত করা সম্ভব’-বলছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারপর নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত, তৈর করা হবে স্পোর্টিং উইকেট, ‘আমরা আমাদের যে কনসালটেন্ট আসবে তাকে আমরা সব ধরনের মাটি দেখাব। তাদের টেস্ট রেজাল্টটা আমরা বুয়েট থেকে করার পরে সে সাজেশন অনুযায়ী আমরা নেব। আমরা চেষ্টা করব, আমরা এখন স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চাই, যা আমাদের ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বহু ধরনের উইকেটই আমরা আলোচনা করছি’ -আরও যোগ করেন তিনি।
আগামী মাসের মাঝামাঝি উইকেটের কাজ শুরু হবে। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে উইকেটের কনসালটেন্ট নিয়ে। এক বছরের মধ্যেম মাঠ প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে বিসিবি। যাতে এর পরের মৌসুম থেকে খেলা শুরু করা যায়। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি এখানে একাডেমি ভবন, বিসিবির নিজস্ব ভবন, ক্রিকেটার্স ক্লাব তৈরি হবে। এখানে দেশের ৫টি ফেডারেশনকে স্থাপনা করে দেওয়া হবে। যদিও এখনো চুড়ান্ত হয়নি কোন-কোন ফেডারেশনগুলোর অফিস এখানে থাকবে। এ ছাড়া একটি হোটেলের জন্য জায়গা থাকবে।
পূর্বাচলের এই স্টেডিয়াম তৈরি হলেও বিসিবি মিরপুর থেকে সব গুটিয়ে এখানে চলে আসবে না। দুই জায়গাতেই চলবে কার্যক্রম। মিরপুরে ডিভিশনাল ক্রিকেট আর পূর্বাচলে আঞ্চলিক ক্রিকেটের কার্যক্রম চালানোর কথা ভাবছে বোর্ড।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমাদের দুটোয় অবস্থানই থাকবে। মিরপুরেও আমাদের স্থাপনা থাকবে, এখানেও থাকবে। অবশ্যই এখানে বিসিবির নতুন একটা অফিস, আমরা করতে যাচ্ছি।’