‘শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিলে ধর্মে-বর্ণে হানাহানি কমে যাবে’
সাদাকালো নিউজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিলে ধর্মে-বর্ণে হানাহানি কমে যাবে।
বুধবার (২ আগস্ট) সবুজবাগে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যত ধরনের অশান্তি বিরাজমান তার মূল কারণ হচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ। প্রত্যেক মানুষকে সম্মান করতে পারলে স্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব। শান্তি দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমরা জাতিসংঘের কার্যক্রমে শান্তির জন্য ভূমিকা রাখছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ধরে জাতিসংঘে একটি নতুন দিকদর্শন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেছেন, মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ কমাতে হবে। সেটি কমানো গেলে পৃথিবীতে একটা চিরস্থায়ী শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বিশ্বের ১৯৩টি দেশ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি তাহলে পৃথিবীতে টেকসই শান্তি অর্জন করতে পারব। শুধু সরকারের পক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে পৃথীবির সব মানুষ সমান। বিভিন্ন মত ও ধর্মের হলেও প্রত্যেক মানুষকে যদি আমরা মানুষ হিসেবে সম্মান করতে পারি তাহলে স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে পারব। এখনো আমাদের সামাজিক জীবনে সংকীর্ণতা রয়েছে। সে জন্য সবাইকে অনুরোধ করব আমরা যেন এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যেখানে একটি অসাম্প্রদায়িক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সবার অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের প্রায় ৫২০ মিলিয়ন বিভিন্ন ভাষাভাষি লোক বুদ্ধ ধর্ম চর্চা করে। যা পুরো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সাত ভাগ। বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি মানুষ বুদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে বুদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসীরা খুবই শান্তিপ্রিয়। সংখ্যা খুব বেশি না হলেও তাদের সংস্কৃতি বাংলাদেশে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। আমি মনেকরি বুদ্ধি সার্কিট ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ এবং ভারতের বুদ্ধদের মাঝে আরও ভালো সম্পর্ক স্থাপন করবে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
রাজধানীর বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ সার্কিট উন্নয়ন’ বিষয়ক সেমিনারটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মাহাথেরির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।