রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন আনারস
সাদাকালো নিউজ
বর্তমানে সাধারণ জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, ডেঙ্গু ইত্যাদির পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে পেটের রোগ। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে নজর দিতে হবে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই সুষম খাবার গ্রহণ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। খাবারের মধ্যে হয়তো নিয়মিত রাখছেন বিভিন্ন ধরনের ফলও।
বর্ষার এই সময়ে সুস্বাদু ফল বলতেই আনারস। তাই এ সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন আনারস। এ ফলে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকায় পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানি না।
কপার, ম্যাঙ্গানিজ, একাধিক ভিটামিন, উৎসেচক ব্রোমেলিন থাকায় আনারস একাধিক শারীরিক সমস্যা নিবারণে কার্যকর। যারা ডায়েটিং করেন তারা ডায়েটেও রাখতে পারেন আনারস।
স্বাদে মিষ্টত্ব থাকলেও আনারসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই মধুমেহ বা ডায়াবেটিসের রোগীরা এই ফল খেতে পারেন। তা ছাড়া এতে সোডিয়াম কম, ডায়েটরি ফাইবার আছে প্রচুর। ফলে হৃদরোগ, উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানির মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে আনারস সক্রিয়ভাবে কাজ করে। হজমের গোলমাল ও পেটে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে আনারস। গেঁটে বাত, অস্টিওপরোসিসসহ হাড়ের অন্যান্য অসুখে আনারস খুবই উপকারী। মুখ ও গহ্বরের স্বাস্থ্যও অটুট রাখে। জন্ডিস, সিরোসিস অব লিভার বা লিভারের অন্য অসুখেও এ ফল খেতে পারেন।
তবে কোনো খাবারই অতিরিক্ত ভালো নয় স্বাস্থ্যের জন্য। তা ছাড়া যেকোনো খাবার থেকেই শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখুন আনারস।