বিশ্বকাপে খেলতে পারাটাই যাদের কাছে আনন্দ!
একবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে দেশটি। ২০২১ সালের ওই আসরে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। মাঝের একটি প্রতিযোগিতায় বাদ পড়ে আবারও বিশ ওভারের বিশ্ব আসরে ওশেনিয়া অঞ্চলের দলটি। পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে পাপুয়া নিউগিনি।
দেশটিতে ক্রিকেট শুরু অনেক আগে। তবে ২২ গজে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। আইসিসির বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটে উন্নতির ছোঁয়া থাকলেও বিশ্বমঞ্চে সুযোগ হচ্ছিল না। অবশেষে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। যদিও সেবার খেলতে হয়েছিল বাছাই পর্বের আদলে হওয়া প্রথম রাউন্ডে। থামতে হয়েছিল সেখানেই।
এবার পাপুয়া নিউগিনি সরাসরি খেলবে মূল পর্বে। ‘সি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও উগান্ডা। সুপার এইট রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাটা তাদের জন্য বাড়াবাড়ি। তবে অঘটন ঘটিয়ে দেওয়ার আশা নিশ্চয় রাখছে। একই সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক উগান্ডাকে হারানোর স্বপ্নও হয়তো বুনছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে নামার আগে ‘প্রস্তুতি’ মন্দ হয়নি। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া নেপালের বিপক্ষে বড় জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হচ্ছে তাদের। তবে মালয়েশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার দুঃখও আছে মনে।কুয়ালালামপুরের ওই ম্যাচটিতে ছিলেন দলের সেরা খেলোয়াড়ের অনেকেই।
পাপুয়া নিউগিনির প্রধান কোচের দায়িত্বে জিম্বাবুয়ের সাবেক উইকেটরক্ষক তাতেন্দা তাইবু। তার কোচিংয়ে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার প্রত্যাশা দেশটির। তবে ফলাফল যাই হোক, বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলতে পারাটাই তাদের কাছে বিশাল অর্জন। আর সেই পথটা যদি জয়ের আনন্দে রঙিন হয়, তাহলে তো কথাই নেই!
এবারের বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনি স্কোয়াডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আসাদ ভালা, চার্লস আমিনি, জন কারিকো, কাবুয়া মোরেয়া, কিপলিং দোরিগা, লে গা সিয়াকা, নর্মান ভানুয়া, সেমা কামেয়া, সেসে বাউ, টনি উরা, আলেই নাও, চাদ সোপার, হিলা ভারে, হিরি হিরি, জ্যাক গার্ডনার।