বস্তায় বন্দি চিত্রনায়িকা শিমুর দেহ উদ্ধার
নাফিজা আক্তার
এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তায় বন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার দেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিমুর দেহ উদ্ধার করা হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, যে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি চিত্রনায়িকা শিমুর। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। রোববার সকাল ১০টা থেকে এই অভিনেত্রী নিখোঁজ ছিলেন।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র ও নাটকের ক্যারিয়ারে দুই দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন শিমু। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
দেশের অনেক গুনী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও কাজ করেছেন শিমু।
অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও সোচ্চার ছিলেন শিমু। শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জনের মধ্যে শিল্পী শিমুও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করতেও দেখা গেছে তাকে।
গত দুইদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর সোমবার কেরানীগঞ্জ ব্রিজের নিচে মিলেছে তার দেহ। বস্তা বন্দি করে কে বা কারা শিমুকে সেখানে ফেলে গেছে। রাজধানীর গ্রিনরোডে থাকতেন শিমু।