প্রিয় স্কুটি নিয়ে আর ফেরা হলো না মাইশার
সাদাকালো নিউজ
মেয়েটির দেহ পড়ে ছিল উড়ালসড়কের এক পাশে। কাছেই ক্ষতিগ্রস্ত স্কুটিটি। পথচারীদের কয়েকজন মেয়েটিকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। অন্যরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিলেন। তবে মাইশা নামের মেয়েটি চলে যায় না ফেরার দেশে।
মেয়ের শখ মেটাতে ৬ মাস আগে স্কুটি কিনে দিয়েছিলেন বাবা নূর মোহাম্মদ। মেয়ের চলে যাবার পর বাবা বিলাপ করে শুধুই বলছিলেন, ‘কেন স্কুটি কিনে দিলাম।’
রাজধানীর খিলক্ষেতে উড়ালসড়কে গেল শুক্রবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজ মীম। তিনি ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাইশার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে। তাঁর বাবার নাম নুর মোহাম্মদ মামুন। মৌচাক আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তিনি। মা আসমা আক্তার গৃহিনী। দুই বোনের মধ্যে মাইশা বড়। মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্তে ৩ বছর আগে নুর মোহাম্মদ রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে বসবাস শুরু করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মাইশা খুবই মেধাবি ছিলেন। ২০১৮ সালে বাবার হাতে গড়া স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। পরে রাউকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে অনার্স করছিলেন।
মাইশার ছোট চাচা মাকসুদুর রহমান পিয়াস দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্কুটি নিয়ে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশে বের হয়েছিল মীম। সেখানে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ নামে একটি সেমিনার ছিল। সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। মিমের সেখানে ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কে জানতো এটাই তাঁর শেষ যাত্রা ছিল।