নওগাঁর হিজাবকাণ্ডে নতুন মোড়
সাদাকালো নিউজ
নওগাঁর মহাদেবপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা অসত্য বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ঠরা। স্কুলের নির্ধারিত পোশাক না পরে আসায় প্যারেডের সময় দুই একজন শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাসন করেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, হিজাবটাকে ইস্যু বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয়েছে। আসলে পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। প্রায় সময় এই স্কুলটি নিয়ে গুজব ছড়ায় একটি পক্ষ। বৃহস্পতিবারও একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব রটানো হয়।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকরা বলছেন, হিজাবের কারণে সেদিন কাউকে মারধর করা হয়নি। স্কুলড্রেস না পরায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাসন করেন শরীরচর্চ্চা শিক্ষক বদিউজ্জামান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আমদীনি পাল। সেই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ চেষ্টা করেছে বলে দাবি তাঁদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতির নানা অভিযোগ আছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বর্তমান এডহক কমিটির আহ্বায়কসহ বেশ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ উঠেছে, তাঁরাই বিষয়টিকে হিজাব ইস্যু বানিয়েছে।
দেশের একটি গণমাধ্যমের কাছে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমদীনি পাল দাবি করেন, ‘তাঁর ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে বর্তমান প্রধান শিক্ষক স্কুলের দায়িত্ব ছাড়বেন। এরপর আমি হবো প্রধান শিক্ষক। কিন্তু আমাকে সে পদে যেতে দিতে চাচ্ছে না একটি পক্ষ। এ কারণেই বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এডহক কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, এটার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই। উদ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আমাকে জড়ানো হচ্ছে। এটা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপার।
এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা ঘটালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।