দেহরক্ষীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা, সংসার ভাঙলো দুবাই শাসকের
দেহরক্ষীর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া। সম্পর্ক গড়ায় বিছানায়। আর এর জেরে সংসার ভেঙেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের। এর মধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের জন্য স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনকে সব মিলিয়ে ৫৫ কোটি পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে দুবাই শাসককে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ হাজার ২১৫ কোটি টাকা।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট বিচ্ছেদের জন্য অর্থের এই পরিমাণ ঠিক করে দেন। বিশ্ব ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ বলা হচ্ছে এটিকে। এর আগে ২০১৯ সালে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের জেফ বেজোস ও স্ত্রী ম্যাকেনজি বেজোসের বিচ্ছেদ হয়। এ জন্য ধনকুবেরকে গুনতে হয় প্রায় তিন লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া, জর্ডানের সাবেক বাদশাহ হুসেইন বিন-তালালের মেয়ে। ৭২ বছর বয়সী ধনকুবের রশিদ আল-মাখতুমের ছয় স্ত্রীর মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম। দুই সন্তান নিয়ে ২০১৯ সালে দুবাই ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন প্রিন্সেস হায়া। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সুরিতে একটি বিলাসবহুল বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, প্রিন্সেস হায়ার দুই সন্তানের প্রত্যেককে প্রতিবছর ৫৬ লাখ পাউণ্ড দিতে হবে। এই দুই সন্তানের মধ্যে এক কন্যার বয়স ১৪ বছর এবং পুত্রের বয়স নয় বছর। ব্রিটেনে প্রিন্সেস হায়ার বিশাল দুটি বাড়ি রয়েছে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচের কথাও বলা হয়েছে রায়ে।
এছাড়াও রায়ে প্রিন্সেসের নিরাপত্তার ব্যয়, ছুটি কাটানোর খরচ, একজন নার্স, আয়ার বেতন, আবাসনের খরচ, পরিবারের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি, পালিত ঘোড়া ও অন্যান্য প্রাণীর খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে শেখ মোহাম্মদ শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি ঘোড়দৌড়ের জগতেও রেসের ঘোড়ার একজন প্রভাবশালী মালিক।
সূত্রের খবর, ব্রিটিশ দেহরক্ষী সাবেক সেনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই প্রিন্সেস হায়ারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে নেন দুবাই শেখ।