তরুণদের ক্ষমতায়নে নিরন্তর কাজ করছেন তিনি!
সাদাকালো নিউজ
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। দেশের তরুণদের একত্রিত করে দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেন তিনি। তরুণদের কর্মক্ষেত্র বাড়াতে তার পরিকল্পনাতেই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে তারুণ্যের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’। এই প্লাটফর্মের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে তরুণ সংগঠকদের দেয়া হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। আর তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।
বর্তমানকে নিয়ে নয়, বরং আগামী দিনের পরিকল্পনা করতে পছন্দ করেন রাদওয়ান মুজিব। আর সে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তার নিরলস চেষ্টার ফসল- ডকুড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটার টেইল’ এবং শিশুতোষ গ্রাফিক নোবেল ‘মুজিব’।
রাদওয়ান মুজিব মনে করেন, ইতিহাসের মাঝেই রয়েছে দেশপ্রেম ও দেশগঠনে উদ্বুদ্ধ হবার প্রেরণা। আর এ কারণে গণমাধ্যম ও নিজের প্রচারণায় নয়, বরং সকল পরিকল্পনা নিয়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন আগামী প্রজন্মের জন্য।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। ১৯৮০ সালের ২১ মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় রাদওয়ান। আজ ৪২ বছর পূর্ণ হলো তার।
লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য তার দুই বছরের ছোট বোন টিউলিপ সিদ্দিক। আর তার বাবা খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ শফিক আহমেদ সিদ্দিক দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্নেন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক পাশ করেছেন রাদওয়ান। একি প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্যারেটিভ পলিটিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে রাদওয়ান মুজিব একজন স্ট্র্যাটেজি পরামর্শদাতা। তিনি স্ট্র্যাটেজি ও যোগাযোগ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও সরকারি সংস্থাকে পরামর্শ দেন। এছাড়াও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন।
জন্মদিনে রাদওয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সিআরআইয়ের ফেসবুক পেইজে লেখা হয়েছে, ‘এ ভেরি হ্যাপি বার্থ ডে টু আওয়ার অনারেবল ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। উই উইশ ইউ গুড হেল্থ অ্যান্ড হ্যাপিনেস।’ একিসঙ্গে রাদওয়ানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।