জয়ার অর্ধাঙ্গিনী
সাদাকালো নিউজ
সুমন বাবা হতে অক্ষম। কিন্তু তিনি সেটা মানতে নারাজ। ফলে সংসারে নিত্যদিন অশান্তি, ঝামেলা। একটা সময় বাধ্য হয়ে তিনি এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী আলাদা হয়ে যান। শুভ্রা তার সাধের গোছানো সংসার অভ্যাস ছেড়ে চলে আসেন। তার কিছু পরেই সুমনের জীবনে আসেন বাংলাদেশি গায়িকা মেঘনা। মেঘনারও প্রাক্তন স্বামী প্রয়াত। কাছাকাছি আসেন তারা।
কিন্তু বাড়ির লোক সেটা মানেন না, মূলত ধর্মের কারণেই। ফলে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন সুমন। নতুন করে সংসার পাতেন। এমন সময়ই সেরিব্রাল হয় তার। এখানেই খেলা ঘুরে যায়। ভাগ্যের পরিহাসে মুখোমুখি হন সুমনের দুই অর্ধাঙ্গিনী। সংসার ছেড়ে এলেও শুভ্রা কিছুই ভোলেন না পুরোনো সংসারের। সে-ই সাহায্য করে সুমনের সমস্ত ডকুমেন্ট ইত্যাদি খুঁজে দিতে। সময়ের সঙ্গে গল্প এগোতে এগোতে ফের একটা নতুন বাঁক নেয়। আর সেখানেই নতুন করে সম্পর্কের আরও একটা দিক উঠে আসে। সেটা কী? সেটা জানতে গেলে ছবিটা দেখতেই হবে।
সেই ছবির নাম ‘অর্ধাঙ্গিনী’। এখানে সুমন চরিত্রে আছেন কলকাতার কৌশিক সেন। শুভ্রা চরিত্রে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। আর সিনেমায় বাংলাদেশি গায়িকা মেঘনা চরিত্রে আলো ছড়াচ্ছেন জয়া আহসান। কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। নির্মাণশেষে দীর্ঘ চার বছর পর আলোর মুখ দেখেছে ছবিটি। এর গল্পে উঠে এসেছে এক পুরুষের জীবনে দুই নারীর অবস্থান। একজন তার প্রাক্তন। একজন বর্তমান। এই দুই নারী কি প্রকৃত অর্থেই সেই পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন? এক পুরুষের জীবনে কি এক নারী ৫০ শতাংশ অধিকার করে থাকতে পারে? এ প্রশ্নগুলো যেন ছুড়ে দেবে এই ছবি।
সিনেমাটি নিয়ে কলকাতায় প্রচারে সরব জয়া। বিভিন্ন হলে যাচ্ছেন। সাক্ষাৎকারে অংশ নিচ্ছেন। পাচ্ছেন প্রশংসা। কলকাতায় এখন জয়ার সিনেমা মানেই আলোচনার খোরাক। দর্শক বেশ তৃপ্তি নিয়ে দেখেন তার অভিনয়। সিনেমাটি নিয়ে জয়াও বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি দর্শককে ছবিটি হলে গিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
গেল ২ জুন এটি মুক্তি পেয়েছে পশ্চিম বাংলায়। সাফটা চুক্তিতে শিগগিরই হয়তো বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহেও আসবে ‘অর্ধাঙ্গিনী’।
কৌশিক গাঙ্গুলির নির্মাণে এটি জয়া আহসানের তৃতীয় ছবি। এর আগে তারা ‘বিজয়া’ ও ‘বিসর্জন’র মতো ছবি উপহার দিয়েছেন। দুটি ছবির জন্যই ভারতের ফিল্মফেয়ার জিতেছিলেন জয়া।
‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অম্বরিশ ভট্টাচার্য, লিলি চক্রবর্তী প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে সুরিন্দর ফিল্মস।