‘জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে রূপপুর প্রকল্প’
সাদাকালো নিউজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ২ শতাংশ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বুধবার (৪ অক্টোবর) প্রকল্প এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের জন্য রাশিয়া থেকে এসেছে ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে এই জ্বালানি। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিন দুপুরে রুশ পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ ইউরেনিয়াম এসেম্বলির একটি মডেল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের কাছে হস্তান্তর করবেন। তার আগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
এ সময় মন্ত্রী জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ উপকৃত হবেন। এছাড়াও দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি অর্থনীতিও গতিশীল করবে রূপপুর।
২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে বলেও জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, রূপপুরে সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনাকারী নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর। তিনি জানান, নিউক্লিয়ার জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ৷ বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে।
রাশিয়ার ঋণ ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণ করা হচ্ছে দুই ইউনিটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে রাশিয়া।