জায়েদার প্রচারে পথে পথে বাধা!
সাদাকালো নিউজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণায় ফের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। জানান, পথে পথে তার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। তবে যা কিছুই হোক না কেন তিনি মাঠ ছাড়বেন না।
হামলার ঘটনায় নৌকা প্রার্থী আজমত উল্লা খানের হাত আছে বলেও দাবি করেন জায়েদা খাতুন। জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান তার প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। তার লোকেরা তাদের জনসংযোগে হামলা করছে এবং তার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে।
জায়েদা খাতুন জানান, এসব ঘটনার কারণে নিজের ভোট হয়তো ঠিকমতো পাবেন না তিনি। তবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত যেন সুস্থ থাকতে পারেন সেজন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জায়েদা খাতুন আরও জানান, তিনি ৫৭টি ওয়ার্ডে গেছেন, সবাই ভোট দিতে চেয়েছেন। কিন্তু টঙ্গীতে গেলেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয়। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জায়েদা খাতুন।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য ইসি ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন জায়েদা খাতুন। ২১শে মে লেখা ওই চিঠিতে তিনি কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে লেখা তিন পাতার ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন দরকার। একিসঙ্গে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়াও খুবি জরুরি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। পরে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমার আবেদন করলে শর্ত সাপেক্ষে তাকে ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ।
তবে এর চার মাস না যেতেই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাহাঙ্গীর। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেও তার মা জায়েদা খাতুন ভোটের মাঠে রয়েছেন।