জায়েদ-নিপুণের দ্বন্দ্ব থামছে না কিছুতেই!
সাদাকালো নিউজ
অভিনেতা জায়েদ খান এবং চিত্রনায়িকা নিপুণের দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই থামছে না। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর পার হলেও সম্পর্কের উন্নতি ঘটেনি এই দুই অভিনেতার। এছাড়া তাদের বিরোধ থামার কোনো লক্ষণই দেখছেন না কেউ।
নতুন করে আবারও একে অপরের বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করেছেন জায়েদ-নিপুণ। জায়েদ খান বলেছেন, চেয়ারের লোভে সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন নিপুণ। অপরদিকে নিপুণের অভিযোগ, শুধুমাত্র জায়েদের জন্যই কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া হয়নি তাদের।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নিপুণ আক্তার। সেখানে তিনি দাবি করেন, সরকারের আদেশ পাওয়ার পরও জায়েদের কারণে নিপুণ এবং অন্য সরকারি কর্মকতারা কান উৎসবে যোগ দিতে পারেনি। জায়েদ খান দেশের নাম ডুবিয়েছে। এতো বড় আয়োজন, জিও থাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরেও শুধু জায়েদ খান থাকার কারণে এফডিসির এমডি ভিসা পাননি।
নিপুণের এমন মন্তব্যের পরে মুখ খুলেন জায়েদ খানও। পাল্টা প্রশ্ন রেখে অভিনেতা জানান, তিনি কিভাবে বাংলাদেশকে ডুবালেন? কান উৎসবে জায়েদের নেগেটিভ কিছু থাকলে সরকার তাকে জিও করে দিতো না। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরও ছিলো।
জায়েদ খান আরও জানান, দুদিন বাকি থাকতে তারা কাগজপত্র জমা দিয়েছিলো। তখন বলা হয়েছিলো শর্ট টাইম। নিপুণ শুধু জায়েদকে নয়, ফ্রান্স অ্যামবাসিকেও ছোট করেছে। পাঁচজন কাগজ জমা দিয়েছিলো। জায়েদকে বাদ দিয়ে বাকিদের দিলেইতো হতো। জায়েদ পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েন, তাহলে অন্যদের ভিসা দিলো না কেন?
নিপুণের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ উল্লেখ করে জায়েদ জানান, নিপুণের কথা হলো পাগলের প্রলাপ। কেউ ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলে যা খুশি তাই বলতে পারে। একটা মানুষ ভোটে না জিতে অন্যায়ভাবে বসলে যা হয় আরকি। এরা পাগলের প্রলাপ বকবে। এরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। তার মুখ থেকে তো অবৈধ জিনিসই বেরোবে। এটাই তো নিয়ম।
নিপুণ কেন সব অনুষ্ঠানে যান না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চিত্রনায়িকা জানান, চিত্রনায়িকা রোজিনা ও জয় চৌধুরীর ছবির দাওয়াত পাননি তিনি। কারণ তারা জায়েদ খান প্যানেলের। তাকে পছন্দ করেন না বলেই হয়তো দাওয়াত দেননি।
নিপুণের এমন অভিযোগের জবাবে জায়েদ খান জানান, সবার স্বাধীনতা আছে কাকে দাওয়াত দিবে কাকে দিবে না। তাছাড়া নিপুণ তো অবৈধ। সবার দাওয়াত পাওয়ার আশা তিনি যদি করেন, সেটাতো ভুল করবেন। কারণ তিনি তো নির্বাচিত সম্পাদন নন। জোর করে চেয়ার দখল করে আছেন। তাই অনেকে দ্বিধায় ভোগে তাকে দওয়াত দেন না।