দমকল কর্মী মনিরুজ্জামানের শেষ কথা
সাদাকালো নিউজ
আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও।’ শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার আগে মামা মির হোসেনকে ফোন করে এসব কথা বলেছিলেন কুমিরা দমকল বাহিনীর নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
৪ জুন সীতাকুণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন দমকল বাহিনীর সদস্য না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মো. মনিরুজ্জামান। শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার আগে ভাগনের বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন মামা মির হোসেন। তাঁর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ।
মনিরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায়। সেখানকার শামসুল হকের ৫ ছেলের মধ্যে ছোট মনির। আট বছর আগে দমকল বাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন মনির। গের দুই মাস আগে তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দেন। বরিশাল জেলায় সে বিয়ে করেন। তাঁদের ২ মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মামা মির হোসেন বলেন, দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি। সকালে ফোন করে তাঁকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে ছুটে আসি। আমি তাঁকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কথাগুলো বলেই তিনি আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এমন একটি ভোর দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না সীতাকুণ্ড এলাকার মানুষ। রাত থেকেই প্রিয়জন হারানো মানুষের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি লক্ষ্য করা গেছে।