
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আসনে জয়ী কে এই পলাশ?
সাদাকালো নিউজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে এ আসনের সদ্য সাবেক সাংসদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবার মনোনয়নই পান নি।
এমনকি জাকির হোসেন মনোনয়ন না পাওয়ায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী। আবার স্থানীয় রাজনীততে সক্রিয় না থাকায় ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কে এই বিপ্লব।
১৯৮৮ সালে রৌমারী উপজেলার খঞ্জনমারা গ্রামে নুরুল আমীন ও মমতাজ বেগম দম্পতির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব হাসান পলাশ। তার বাবা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নিজ এলাকাতেই। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন আইনের ছাত্র হিসেবে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এল.এল.বি এবং ২০০৯ সালে এল.এল.এম পাস করেন। পেশাগত জীবনে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
স্থানীয় রাজনীতিতে সাংগঠনিক কোন পদ না থাকলেও বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পলাশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির (সোহাগ-নাজমুল কমিটি) উপআইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।
স্থানীয় রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও করোনাকালীন এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর সুনাম আছে তার।
স্থানীয়রা জানান কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, নদী ভাঙন রোধ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির বিষয়গুলো পলাশের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে প্রাধান্য পেয়েছিল।
রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, গত মেয়াদে জাকির হোসেন এমপি হওয়ার পর জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের কোনো খোঁজখবর নিতেন না। গত ২২ নভেম্বর কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।