কী কারণে সিওলে হ্যালোউইন পার্টিতে মৃত্যু মিছিল?
সাদাকালো নিউজ
সিওলের সরু গলিতে পার্টি করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ১৫১ জনের। ঘটনাস্থল থেকে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের বেশিরভাগের বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় মাদকের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে কী কারণে ঘটন এই ঘটনা?
হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে ইটাওয়ানের একটি সরু গলিতে লক্ষাধিক লোক জড়ো হয়েছিল। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এটিই ছিল প্রথম হ্যালোউইন ইভেন্ট। (ছবি – পিটিআই) (REUTERS)
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের মতে, রাত ১০টা ২২ মিনিটে প্রথম জরুরি অবস্থার খবর দেওয়া হয়। এরপর ক্রমেই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যেতে থাকে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃত ও আহতদের সংখ্যা। (REUTERS)
রিপোর্ট অনুযায়ী, এক লাখেরও বেশি লোক ওই সরু গলিতে ছিলেন। তাছাড়া হ্যামিল্টন হোটেল থেকে এবং ইটাওয়ানের ঘূগর্ভ রেল স্টেশন থেকেও বিশাল ভিড় বেরিয়ে আসছিল বলে জানা গিয়েছে। (REUTERS)
কোরিয়ান মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গলির আশেপাশের একটি স্থানে কোনও এখ ‘সেলিব্রিটি’ উপস্থিত হলে ভিড় বেড়ে যায়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সেই ‘সেলিব্রিটি’কে দেখতে। (REUTERS)
কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে গলিপথে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেটি মাত্র চার মিটার চওড়া। সেই সরু গলিতে কোনও সেডান গাড়িও ঢুকতে পারবে না। সেখানেই লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। (REUTERS)
হুড়োহুড়িতে মানুষ একে অপরকে ধাক্কা দিতে থাকেন। ভিড়ের চাপে অনেকেই একে অপরের গায়ে পড়ে যান। দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে প্রচুর মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। (REUTERS)
এদিকে ভিড় থাকায় সময় মতো অসুস্থদের কাছে পৌঁছতেই পারেনি অ্যাম্বুলেন্স। এরই মধ্যে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি আরও বেড়ে যায়। পুলিশ গাড়ির ছাদে উঠে সেখান থেকে চলে যেতে বলে মানুষজনকে। (REUTERS)
এদিকে ঘটনাস্থলে তখনও অনেকেই নাচ-গানে মেতে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করছিল। যার জেরে সময় মতো অনেকের কাছেই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আর এই কারণেই মৃতের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। (REUTERS)
অনেকে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। এরই মাঝে হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে একের পর এক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যা দেখে উৎসবে অংশ নেওয়া মানুষজন হতচকিত হয়ে পড়ে। (REUTERS)