কার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরদৌস?
সাদাকালো নিউজ
দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ক্যারিয়ারের পা রাখেন মডেল হিসেবে। এরপর হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় হয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েও মনোনয়ন পাননি তিনি। তাতে কি, তিনি দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে।
এবার ফেরদৌসকে দেখা গেছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে। এই সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। তার পক্ষেই প্রচারণায় নেমেছেন ঢাকাই সিনেমার এ নায়ক। জনসংযোগ করে ঘাম ঝড়াচ্ছেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
১৪ই জুন সিলেট মহানগরীর তালতলা, মির্জাজাঙ্গাল, লামাবাজার এলাকার ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান ফেরদৌস। এছাড়া লিফলেটও বিতরণ করেন নায়ক। এদিন ফেরদৌসকে দেখতে ভীড় জমান তার ভক্তরা। নায়কের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সেলফি তুলতেও দেখা যায় অনেককে।
নির্বাচনী প্রচারে ফেরদৌস জানান, দেশে যে উন্নয়ন আর সিলেটের যে উন্নয়ন তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটকে অনেক বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাস্তা করেছেন নানা উন্নয়ন করেছেন। আর এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপকমিটির এই সদস্য আরও জানান, দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন। তিনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। ফেরদৌস অনুরোধ করেন- প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সবাই যেন আনোয়ারুজ্জামানের নৌকা প্রতীকে ভোট দেন।
এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছিলেন নায়ক ফেরদৌস। কিন্তু জিততে পারেননি আজমত উল্লা। তিনি হেরে যান গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে।
এদিকে আগামী ১৭ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের প্রয়াণে আসনটি শূন্য হয়েছে। এই আসনে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তুলেছিলেন নায়ক ফেরদৌস। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে।
এর আগে যশোর-৩ সদর আসন থেকেও মনোনয়ন চেয়ে পাননি ফেরদৌস। পেলেন না ঢাকা-১৭’তেও। তাতে কোনো অভিমান বা কষ্ট নেই নায়ক ফেরদৌসের। দলের সিদ্ধান্তকেই তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেমে সেটাই প্রমাণ করলেন অভিনেতা।