
কানপুরে বাংলাদেশকে হারাতে একাদশে যাকে চান মাঞ্জরেকার
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়েছে দলটি। আর সেই উড়তে থাকা বাংলাদেশকে চেন্নাইয়ে মাটিতে নামিয়ে ছেড়েছে ভারত। বাংলাদেশকে হারিয়েছে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। ভারতের এমন পেশাদারিত্ব থেকে পাকিস্তান দলকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল।
চেন্নাই টেস্টে স্পিনার হিসেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাকে খেলিয়েছে ভারত। পেসার হিসেবে খেলেছে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ সিং। এদের মধ্যে স্পিনার দু’জনই আবার অলরাউন্ডার। চেন্নাই টেস্টে ব্যাট হাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন দু’জনেই।
কাজেই অশ্বিন-জাদেজাকে অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করে স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে কুলদীপকে খেলানোর পক্ষে মত মাঞ্জরেকারের। কেননা, কানপুরে সবুজ উইকেট হবে বলে মনে করা হলেও শেষ দিকে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে মনে করেন মাঞ্জরেকার। কারণ, চেন্নাই টেস্টেও শেষ দিকে সুবিধা পেয়েছে স্পিনাররা। এই অবস্থায় তাই কুলদীপকে খেলানোর পক্ষে মাঞ্জরেকার।
কুলদীপকে একাদশে রাখা নিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘আমি মনে করি, কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে রাখা এত সহজ নয়। আমি বিশ্বাস করি, উইকেট যদি টার্নিং না–ও হয়ে থাকত, তাহলেও চেন্নাইয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলিয়ে সুবিধা নেওয়া উচিত ছিল ভারতের। কারণ, ভারতের পিচে সিমাররা এক থেকে দেড় দিনই শুধু সুবিধা পাবে। এরপর উইকেট স্পিনারদের সাহায্য করতে শুরু করে।’
মাঞ্জরেকার আরও বলেন, ‘কানপুরে ভারতের এই মনোভাব নিয়েই খেলা উচিত। সেখানকার পিচ যদি সবুজও হয় এবং সূর্য মেঘের আড়ালে থাকে, তাহলেও তাদের মনে রাখতে হবে সবুজ উইকেট (পেসারদের) শুধু কয়েক ঘণ্টাই সাহায্য করবে আর এর সুবিধা নেওয়ার জন্য বুমরা ও সিরাজই যথেষ্ট। আপনার হাতে যখন তিনজন পরীক্ষিত স্পিনার থাকবে, তিনজনকেই খেলানো উচিত।’