এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করবেন যেভাবে
রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে এখন হরহামেশাই এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে অসতর্কতার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় অনেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিস্ফোরক পরিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রান্তিক ব্যবহারকারী অগ্নিদুর্ঘটনা ও গ্যাস বিস্ফোরণের সম্মুখীন হচ্ছেন। এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রান্না শেষে রেগুলেটরের সুইচ অন থাকলে গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমা হতে পারে। এলপি গ্যাস বাতাস থেকে ভারী বলে কোনো লিক বা সংযোগের ত্রুটির কারণে নিঃসৃত গ্যাস ঘরের মেঝেতে জমা হয়। এ অবস্থায় গ্যাসপূর্ণ ঘরে আগুন জ্বালালে বা স্পার্ক করলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সিলিন্ডার আগুনে বা অন্যভাবে গরম হলে তরল এলপিজি দ্রুত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধির ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে। সিলিন্ডার কাত করে রাখলে বা চুলার ওপরে রাখলে রান্নাঘরে অগ্নিকান্ড বা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
এ অবস্থায় এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিস্ফোরণ পরিদপ্তর।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন—
রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করুন; সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার/আগুনের পাশে রাখবেন না; চুলা যথেষ্ট দূরে বায়ু চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন; এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখুন, কখনই উপুড় বা কাত করে রাখবেন না; চুলা সিলিন্ডার হতে নিচুতে রাখবেন না, কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি ওপরে রাখুন; গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানাজা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন; অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডারে তাপ দিবেন না; রান্নাঘরে স্থাপিত আবদ্ধ কোনো ক্যাবিনেটে এলপিজি সিলিন্ডার রাখবেন না; রান্না শুরু করার ৩০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা জানালা খুলে দিন; সিলিন্ডারের ভাল্বের (২০এমএম/২২এমএম) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করুন এবং ত্রুটিপূর্ণ ক্লিপ, হোসপাইপ পরিবর্তন করুন।