এক নজরে শিল্পী সমিতির শীর্ষ নেতৃত্ব
নাফিজা আক্তার
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এই দুজন সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন শিল্পীদের এক ছায়াতলে রাখার জন্য। এদের পরে আরও অনেকে এসেছেন এই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বে। তাদের মধ্যে অনেকেই বেচেঁ আছেন। আবার কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত সংগঠনটির সভাপতি পদে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান। একইসঙ্গে টানা তিনবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন আহমেদ শরীফ। এরপর ১৯৯১ সালে সম্পাদক থেকে সভাপতি হন আহমেদ শরীফ। আর সাধারণ সম্পাদক হন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ১৯৯৩ সালেও সভাপতি ছিলেন আহমেদ শরীফ তবে সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন অভিনেতা মাহমুদ কলি।
১৯৯৫ সালে শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে আসেন নায়ক আলমগীর। সাধারণ সম্পাদক হন খল অভিনেতা মাহবুব খান গুই। ১৯৯৭ সালে আবারও সভাপতি হন আহমেদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদ কলি। ১৯৯৯ সালে সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতি হন মাহমুদ কলি আর সেক্রেটারি হন খল অভিনেতা মিজু আহমেদ।
২০০২ সালেও সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন মাহমুদ কলি এবং মিজু আহমেদ। ২০০৪ সালে আবারও সভাপতি হন আহমেদ শরীফ তবে এবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এরপর ২০০৯ সালে শিল্পী সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে আসেন মিজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন প্রয়াত নায়ক মান্না। ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মিজু আহমেদ তবে এ সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাসুম পারভেজ রুবেল।
এরপর ২০১৫ সালে সভাপতি ছিলেন ঢালিউডের কিং শাকিব খান। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মিশা সওদাগর। টানা ২০১৭ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শাকিব খান। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন হয়, আসেন নায়ক অমিত হাসান। এরপর ২০১৭ সাল থেকে টানা ২০২২ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন নায়ক জায়েদ খান।
এবার ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে দীর্ঘ ৩২ বছর পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দায়িত্ব কাঁধে নিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। গেল শুক্রবার খল অভিনেতা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এর আগে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সে বার তার প্যানেল থেকে সভাপতি হয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর দীর্ঘ ৩২ বছর আর কখনও শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি। তবে বিদায়ী কমিটির সঙ্গে দুই মেয়াদে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। ফলে বর্তমান সময়ের শিল্পীদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল।