অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স
ঘাটতি চিহ্নিত করে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স। এক্ষেত্রে বর্তমান লিকেজগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি কিভাবে সেগুলো সমাধান করা যাবে সে সব বিষয়ে পরিকল্পনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এ এস মুর্শিদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া-সালমা সন্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্সের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে একই স্থানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়।
টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. কাউসার আহমদ, টাস্কফোর্সের সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন, ড. সেলিম রায়হান, ড. মঞ্জুর হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ড. শামসুল আলম, ড. রুমানা হক, নাসিম মঞ্জুর এবং ফাহিম মাশরুরসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কে এ এস মুর্শিদ বলেন, আমরা সবকিছুই হয়তো করতে পারবো না। তবে অর্থনীতির যেসব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত আপনারা সবাই জানেন। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্যার আমাদেরকে কাজের পরিধি, কৌশল ও গুরুত্বেও জায়গাগুলো সম্পর্কে ধরণা দিয়েছেন। আমরা আগামী বৈঠক থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কাজ শুরু করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন যে জায়গায় আছে আমরা চেষ্টা করবো সেখান থেকে কিভাবে গো অন করে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা যায়। সেই সঙ্গে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কৃষি, শিল্প উৎপাদন, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন প্রকল্পসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্বল্প মেয়াদে সরকারকে পরিকল্পনা দিব। যাতে আগামী ১ বা ২ বছরের মধ্যে একটা ফলাফল দেখা যায়। আমদের পরিকল্পনা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে কিংবা সেখানে রিপ্লেস করা নয়। এটা স্বতন্ত্র পরিকল্পনা হবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়েও আমরা পরামর্শ দেব।
তিনি আরও বলেন, বিষয়গুলো চিহ্নিত হয়ে আছে। যেমন সুশাসনের যেন সব স্থানে ঘাটতি আছে; সেগুলো তুলে ধরে লিকেজ বন্ধের পরিকল্পনা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকার পতনের পর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের লক্ষ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর ১২ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার। এর সভাপতি হিসেবে বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।