যুক্তরাজ্যে রাজা-রানিতে কেন বদলায় জাতীয় সংগীত?
সাদাকালো নিউজ
৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ছেড়েছেন বিশ্বের প্রবীনতম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানির চলে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হবেন বড় ছেলে চার্লস। এর আগে বেশকিছু পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছেন ব্রিটিশরা।
সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি আসছে সেটি হলো জাতীয় সংগীতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের জাতীয় সংগীতের প্রথম প্যারাটি গাওয়া হয়। সে জায়গায় আনা হবে পরিবর্তন। একিসঙ্গে জাতীয় সংগীতের যেসব জায়গায় কুইন শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে এখন বসানো হবে কিং। যেখানে নারীবাচক ‘শি’ বা ‘হার’ আছে সেখানে পুরুষবাচক ‘হি’ বা ‘হিম’ বসবে।
ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জাতীয় সংগীতের ইতিহাস রয়েছে। সেখানে বলা হয়, দেশাত্মবোধক গান হিসেবে ‘গড সেভ দ্য কিং’ ১৭৪৫ সালে লন্ডনে সর্বপ্রথম সর্বজনীনভাবে পরিবেশন হয়। গানটি উনিশ শতকের শুরুতে জাতীয় সংগীত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
রাজা তৃতীয় জর্জের সময় থেকে এটি জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়। এরপর মাত্র দুইবার শব্দে পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবার রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে। এরপর রাজা এডওয়ার্ডের সময় এটি পুরোনো কথায় ফিরে যায়।
দীর্ঘ ৫১ বছর পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামল শুরুর সময় ১৯৫২ সালে আবারও গানে পরিবর্তন আনা হয়। রানির চলে যাওয়ার কারণে প্রায় ৭০ বছর পর আবারও গানের কথায় আসছে পরিবর্তন।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিংহাসনে বসেন এলিজাবেথ। ১৭০টিরও বেশ দেশ ভ্রমণ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর চোখের সামনে সৃষ্টি হয়েছে ১০০টির মতো দেশ।
ছোটবেলা থেকেই কুকুর ভালোবাসতেন কুইন এলিজাবেথ। এছাড়া পছন্দ করতেন ঘোড়ায় চড়তে। ফ্যাশনেবল ব্যাচ ছাড়া আউটিফিটের সঙ্গে পড়তেন ভিন্ন ভিন্ন রঙের ডিজাইনার করা হ্যাট। সমাজ সেবার কাজও করতেন তিনি।