এশার ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে?
জান্নাতুল নওরীন এশা। এরশাদ শিকদারের ২২ বছর বয়সী মেয়ে। এশার গ্রামের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি রোড এলাকায়। রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারের ৯/২/সি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। এই ভবনেই নিজেই নিজেকে শেষ করে দেন এশা।
গত ৪ঠা মার্চ ভোরের দিকে ঘটা ওই ঘটনায় সে সময় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার ৬ মাস পর চৌঠা সেপ্টেম্বর দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করে, প্রেমিক প্লাবন ঘোষকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এশার ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। এশার ঘটনায় প্লাবণের প্ররোচনা রয়েছে। এ কারণেই নিজেই নিজেকে শেষ করে দেন এশা। এছাড়া এশার ময়নাতদন্ত রিপোর্টও হাতে পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে এশার দুই হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এশা নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এশার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক প্লাবন ঘোষ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে এশার মায়ের অভিযোগ, পুলিশ তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। তাই এশার ঘটনার তদন্তের বর্তমান অবস্থা কী সেটা জানেন না তিনি।
গুলশান থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্লাবনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এশার। সেই প্রেম থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্লাবন ঘোষ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই এশা প্লাবন ঘোষকে ভিডিও কলে রেখে নিজ ঘরেই নিজেকে শেষ করে দেন। ঘটনার পরদিন সকালের দিকে গুলশান থানা পুলিশ এশার দেহ উদ্ধার করে। ওইদিন এশার মা এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা আক্তার শোভা গুলশান থানায় প্লাবনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই প্লাবন পলাতক বলে দাবি করছে গুলশান থানা পুলিশ।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার অনেক আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অনেক পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। এসব প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আদালতে জমা দেয়া হবে। বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ করা হবে না।’
সাদাকালো নিউজ