ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের নেপথ্যে কী?
সাদাকালো নিউজ
নিউ মার্কেটে একটি খাবারের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটির জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত এমনটিই দাবি পুলিশ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের।
সোমবার রাত ১২টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ছাত্র-ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া চলে। শেষ পর্যন্ত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের কাছে একটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ওই খাবারের দোকানের লোকজনের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বেশ তর্ক-বিতর্কের পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে এসে হামলা চালায়। রাতে ছাত্ররা অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করে, কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালায়। পুলিশ ঠিক সময়ে না এলে তারা মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দিতে পারতো।
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষ আর মাস্টার্সের তিনজন শিক্ষার্থী রাতে নিউ মার্কেটে খেতে যায়। দাম যা আসছে তার চেয়ে একটু কম দিতে চেয়েছিল তারা। এসময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে দোকানে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুরুতর জখম করে দোকানিরা।’
এই খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এরপর ব্যবসায়ী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, রাতে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের দিক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। ৭ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।
নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ বলেন, ‘নিউ মার্কেট এলাকায় একটি খাবারের দোকানে দাম দেওয়া নেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন নামে ম্যানেজমেনট চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার ব্যাপারেই মূলত মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা আবারও সড়কে অবস্থান নেয়।’