ফ্রান্সে মুসলমানদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ!
সাদাকালো নিউজ
ফ্রান্সে মুসলিম কমিউনিটি বেশ বড়। পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের বসবাস এই দেশে। সম্প্রতি হয়ে গেল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড। এ রাউন্ডে জিতেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে তাকে লড়তে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লা পেনের সঙ্গে। আগামী ২৪ এপ্রিল চূড়ান্ত ধাপের ভোট হবে।
তবে নির্বাচনে যেই পক্ষই জয়ী হোক না কেন, কেউই ফ্রান্সের মুসলমানদের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, মুসলমানরা এবার পরবর্তী সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় দু’টি মন্দের মধ্যে কোনটি কম সেটিই হয়তো বেছে নেবে।
কেননা, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর আজ পর্যন্ত দেশ পরিবর্তন কিংবা উন্নয়নের নামে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলোর অধিকাংশই ছিল মুসলিমের বিপক্ষে।
এমনকি এই বছর দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইশতেহারে যে সকল বিষয় তুলে ধরেছেন, সেগুলোর কোনটাই মুসলমানদের পক্ষে নয়। তাই বলা চলে, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যদি দ্বিতীয়বারের মত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, সেক্ষেত্রে ফ্রান্সে বসবাসরত ইসলাম ধর্মালম্বিদের ভবিষৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমানুয়েল মাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতা মেরিন লা পেন বলেই দিয়েছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি দেশটিতে মাথা ঢেকে পর্দা করা বন্ধ করে দেবেন। এর মানে, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেই আসুক না কেন, ফ্রান্সের মুসলমানদের সামনে এক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমের বাস ফ্রান্সে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মুসলমানদের বসবাস এ দেশে। ফ্রান্সে ইসলাম দ্বিতীয় ধর্ম হলেও সেখানে মুসলমানদের একক কোনো নেতা নেই।