
ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হারলে কী হবে ?
সাদাকালো নিউজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি নিয়ে টালমাটাল অবস্থায় আছেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দলগুলো।
কাল রোববার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বিরোধীদের অভিযোগ, ইমরান খান পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কিছু সদস্য দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরপরই ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর চাপে পড়েন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে যদি ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কীভাবে নির্বাচিত হবেন, সে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের নিয়ম ও কার্যপ্রণালিতে বলা রয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হয়, তাহলে জাতীয় পরিষদ কোনো বিতর্ক বা অন্য কোনো কিছু না করে নতুন একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রার্থীর নাম ঠিক হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগের দিন বেলা দুইটার মধ্যে প্রার্থীদের নাম সচিবের কাছে পাঠাতে হবে।
যাচাইয়ের পর মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা স্পিকারের হাতে।
নির্বাচনের দিন স্পিকার প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনাবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং ওই প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোট পেলে স্পিকার তাঁকেই নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট না পেলে সেখানেই এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটবে। স্পিকার আবারও পরিষদে নতুন করে একটি প্রক্রিয়া শুরু করবেন।