আলোর পথে যাত্রার সফল একটি দিন: প্রধানমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারা সব থেকে বড় কথা বলে অনভূতি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করব। প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা, আলোর পথের যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেটা সফল হয়েছে সেই দিন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সোমবার পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করে। দেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করল সরকার। বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেল দেশের প্রতিটি ঘরে। এরমধ্যে দিয়ে সেই অঙ্গীকার পূরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালতে পারলাম, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা, যে আমরা আলোকিত করেছি এ দেশের মানুষের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে।’
একযুগ আগে সারা দেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে পড়ে জেলার পর জেলা থাকত অন্ধকারে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হামলা চালাত সাধারণ মানুষ। সেই পরিস্থিতি এখন আর চোখে পড়ে না। গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে কয়েক গুণ বেশি উন্নতি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে। উৎপাদনে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড।
বিদ্যুৎ খাতে বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের গল্পটাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। রাঙাবালি, নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর নিচ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আর যেখানে গ্রিড লাইন নেই, সেখানে সোলার প্যানেল করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাহাড়ি অঞ্চল, আমাদের হাওর-বাঁওর অঞ্চল, আমাদের দুর্গম এলাকা- প্রতিটি জায়গায় কিন্তু আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে দিচ্ছি। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হবে। এটাই তো আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’