কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন নাবিক হাদিসুর?
নাফিজা আক্তার
সমুদ্রে ভাসা জীবন ছিলো নাবিক হাদিসুর রহমানের। তবে সোমবার দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে তিনি দেশে ফিরেছেন আকাশপথে নিথর দেহে। শেষবার বাড়ি ছাড়ার আগে হাদিসুর মাকে কথা দিয়েছিলেন ৬ মাস পর ছুটিতে বাড়ি ফিরবেন। ফিরেই মায়ের পছন্দের কনের সঙ্গে বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে।
এমনকি পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে ভাইয়ের সঙ্গে শেষ আলাপেও ছিল বিয়ের বিষয়টি। আর এ আলোচনা চলার সময়ই হুট করে স্তব্ধ হয়ে যায় হাদিসুরের পৃথিবী। ফোনের এ প্রান্তে থাকা ভাই বারবার ডেকে গেলেও, জবাব দেননি হাদিসুর। কেননা ততক্ষণে তিনি আর নেই।
নানা আনুষ্ঠানিকতা আর প্রাকৃতিক বাধা পেরিয়ে হাদিসুরকে বহন করা তার্কিস এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি সোমবার এসে পৌঁছায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
হাদিসুরের চাচা হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত করা হবে হাদিসুরকে। অদৃশ্য অশ্রুজল নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন হাদিসুরের সহকর্মীরাও। তারা জানান, জীবনের দাম শোধের ক্ষমতা কারো নেই। তবু কিছুটা আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন তারা। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে দাবি জানান, এই নাবিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের এ জি এস মো. গোলাম জিলানী সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী হাদিসুর বেশ ভালো ক্ষতিপূরণ পাবে। এর পরিমাণ নির্ধারণে আমাদের কয়েকটি বিভাগ কাজ করছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।’