খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের আসল পরিচয় কী?
সাদাকালো নিউজ
রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর- এই পাঁচটি জেলা নিয়েই একসময় ছিল বৃহত্তর ফরিদপুর। ঐতিহাসিকভাবে দেশের রাজনীতিতে ফরিদপুর একটা অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। আর সেই গোটা ফরিদপুর একসময় ওঠবস করত একজন ব্যক্তির কথায়। তিনি হলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর। এই ব্যক্তি সবশেষ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবেও।
তবে বাবরের অন্যতম একটি পরিচয় হলো তিনি সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও বর্তমানে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই। সূত্র বলছে, এই পরিচয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছিলেন বাবর। এক সময়ের বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগে। বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বড় ভাই নির্বাচনে জয়ী ও পরে মন্ত্রী হলে ধীরে ধীরে তাঁর ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে পড়েন বাবর। ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন খন্দকার বাবর। মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন অফিস-আদালতে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন তিনি। এক পর্যায়ে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ পান।
সোমবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাবরকে ধরে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের আমলি আদালতের মাধ্যমে তাকে হাজতে পাঠানো হয়। বৈধ উপায়ের বাইরে গিয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মোকদ্দমায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বাবর।