পাকিস্তানে মসজিদে হামলায় নিহত বেড়ে ৫৬, দায় স্বীকার আইএসের
সাদাকালো নিউজ
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ মানুষ। আর এই আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার, পেশোয়ারের কোচা রিসালদার এলাকার ওই মসজিদটিতে জুমার নামাজ চলার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আইএস তাদের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ জানিয়েছে, তাঁদের একজন যোদ্ধা গতকাল পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পেশোয়ার শহরের একটি শিয়া মসজিদে সফলভাবে হামলা চালিয়েছেন।
জানা যায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি শহরে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই দিনেই আইএস মসজিদে নামাজরত অবস্থায় সাধারণ মুসুল্লীদের উপর এই প্রাণঘাতী হামলা চালায়।
পেশোয়ার পুলিশ বলেছে, শহরের কিসসা খাওয়ানি বাজারের একটি মসজিদে নামাজ পড়ার কথা বলে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন দুজন হামলাকারী। তাঁদের দেখে সন্দেহ হলে মসজিদে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ সদস্য তাদের মসজিদে ঢুকতে বাঁধা দেয়। এসময় হামলাকারী দুজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও অন্যজন গুরুতর আহত হন। এর পরপরই মসজিদের ভেতর আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
বিবিসির খবরে জানা গেছে, মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনায় হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশই শিয়া সম্প্রদায়ের।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে পেশোয়ারে ইয়াকাতুত এলাকায় এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা যান আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতা হারুন বিলুরসহ আরও ১৯ জন। ওই বছর সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বিলুরকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল। আর ২০১৮ সালের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান।