কে এই জায়েদ খান? শিল্পী সমিতির হ্যাটট্রিক সাধারণ সম্পাদক
নাফিজা আক্তার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারের আপিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে চিত্রনায়ক জায়েদ খানই থাকছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ২ মার্চ বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হলেন জায়েদ খান। ২০১৭ সালের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন শেষে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নেয় মিশা-জায়েদ প্যানেল। তারপর সমিতির গল্পটা বেশিরভাগই সাফল্যের
১৯৮০ সালের ৩০ জুলাই পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন এই নায়ক। ২০১২ সালে নায়কের মা শাহিদা হক রত্নগর্ভা হিসাবে পুরস্কৃত হন। ২০০৮ সালে ‘ভালবাসা ভালবাসা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে জায়েদ খানের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। রোমান্টিক ধাঁচের এই ছবিটির পরিচালনা করেন মহম্মদ হাননান। এতে আরও অভিনয় করেন রিয়াজ এবং শাবনূর। পরের বছর তিনি মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কাজের মানুষ’ এবং মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘মন ছুঁয়েছে মন’ ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত এফ আই মানিক পরিচালিত ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মায়ের চোখ’ ও ‘রিকসাওয়ালার ছেলে’।
২০১২ সালে জায়েদ খানকে শাবনূরের বিপরীতে প্রধান অভিনেতা হিসেবে ‘আত্মগোপন’ ছবিতে দেখা যায়। ছবিটি পরিচালনা করেন এম এম সরকার। ২০১৪ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল মাশরুর পারভেজ ও আকিব পারভেজের যৌথ পরিচালনার ‘অদৃশ্য শত্রু’, রকিবুল আলম রকিবের ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’, আজাদ খানের ‘দাবাং’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘মাই নেম ইজ সিমি’ এবং রাজু চৌধুরীর ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’।
২০১৫ সালে তিনি শাহ্ আলম মন্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’ ছবিতে অভিনয় করেন জায়েদ। ২০১৭ সালে প্রযোজনায় নাম লেখান জায়েদ খান। তার প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্তর জ্বালা’ পরিচালনা করেন মালেক আফসারী। এখানে তার নায়িকা ছিলেন পরীমণি। প্রথম দিকে জায়েদ খান সহ-নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেও ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাংলা ভাই’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো নায়কের চরিত্র পান। পরিশ্রমি এ নায়ক বাংলা ভাই চলচ্চিত্রে ডামি ব্যবহার না করেই বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে ‘লাভ ইন মালয়েশিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার সময় সাগরে পড়ে যান। পরে তাকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়।