জিতলেও জায়েদ প্যানেলের চাপে থাকবেন কাঞ্চন-ফেরদৌসরা!
রাকিবুল ইসলাম
পরিবর্তনের ডাক দিয়ে প্রথমবারের মতো শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন। যা মিশা-জায়েদ প্যানেলের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে অর্ধেক। এখন প্রশ্ন উঠেছে অর্ধেক প্যানেল নিয়ে নতুন সভাপতি কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন?
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে মিশা-জায়েদ পরিষদ থেকে ১১ জন এবং কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নায়িকা নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে মাসুম পারভেজ রুবেল ও ২১৯ ভোট পেয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডি এ তায়েব ১১২ ভোট ও রিয়াজ আহমেদ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত পেয়েছেন ১২৭ ভোট। ১৮৪ ভোট পেয়ে শাহানূর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলেক জান্ডার বো পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী ২০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিরব হোসেন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ পেয়েছেন ১৪৬ ভোট।
কার্যকরী পরিষদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে অঞ্জনা পেয়েছেন ২২৫ ভোট। রোজিনা পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। অরুণা বিশ্বাস পেয়েছেন ১৯২ ভোট। সুচরিতা ২০১ ভোট। আলীরাজ ২০৩ ভোট। মোসুমী পেয়েছেন ২২৫ ভোট। চুন্নু পেয়েছেন ২২০ ভোট।
অন্যদিকে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদে জয়ী হয়েছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে নায়ক ফেরদৌস পেয়েছেন ২৪০ ভোট। কেয়া পেয়েছেন ২১২ ভোট। জেসমিন পেয়েছেন ২০৮ ভোট। অমিত হাসান পেয়েছেন ২২৭ ভোট।
এছাড়া দুই পরিষদের মধ্যে পরাজিত হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আফজাল শরীফ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। আসিফ ইকবাল পেয়েছেন ১৬৮ ভোট। গাংগুয়া পেয়েছেন ৯৯ ভোট। নাদির খান পেয়েছেন ১৭৯ ভোট। নানা শাহ পেয়েছেন ১৬২ ভোট। পরীমণি পেয়েছেন ৭৯ ভোট। বাপ্পারাজ পেয়েছেন ১১৭ ভোট। শাকিল খান পেয়েছেন ৭৯ ভোট। সাংকোপাঞ্জা ৮২ ভোট। সীমান্ত পেয়েছেন ১৭৩ ভোট ও হাসান জাহাঙ্গীর ১১১ ভোট।