নায়িকা শিমুকাণ্ডের বিচার চেয়ে যা বললেন ওমর সানি
নাফিজা আক্তার
রোববার সকাল থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু। দুইদিন পর সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ ব্রীজের কাছে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। বস্তায় করে ব্রিজের নিচে কে বা কারা ফেলে যায় শিমুকে।
প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও পরে হাতের আঙুলের ছাপ ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া।
এদিকে নায়িকা শিমুকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এই দাবি করেন তিনি। সেখানে ওমর সানি লিখেন, অনেক ছবিতে অভিনয় করেছে শিমু। সে আমাদের বরিশালের মেয়ে। রাষ্ট্রের কাছে এই কাণ্ডের বিচার চাই, এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে তারাই বের করবে। কিন্তু এর আগে কারও নাম বলা দণ্ডনীয় অপরাধ, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
এদিকে শিমুকাণ্ডে এরইমধ্যে ১৭ জানুয়ারি রাতে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র ও নাটকের ক্যারিয়ারে দুই দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন শিমু। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
দেশের অনেক গুনী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও কাজ করেছেন শিমু।
অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও সোচ্চার ছিলেন শিমু। শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জনের মধ্যে শিল্পী শিমুও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করতেও দেখা গেছে তাকে।
শিমুর ফেসবুকের তথ্য বলছে, একটি বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিপণন বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি একটি প্রযোজনা সংস্থাও চালাতেন এই অভিনেত্রী।