নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ব্যালটে থাকছেন পরীমণি।
নাফিজা আক্তার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচনের ভোট উৎসবের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। ইতোমধ্যে দুটি প্যানেল এবং তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত। এবার মোট ৪৪ জন বিভিন্ন পদে লড়াই করবেন। তাদের মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। যারা কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। তারা হলেন- খল অভিনেতা ডন এবং হরবোলা।
গত ১২ জানুয়ারি চূড়ান্ত হয়েছে এই নির্বাচনের দুটি প্যানেল। একটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন বরেণ্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও নায়িকা নিপুণ। অন্যটিতে আছেন গত দুই মেয়াদে দায়িত্বে থাকা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।
এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে লড়াই করার কথা ছিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির। এই প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা তার। কিন্তু হঠাৎ ১৫ জানুয়ারি, শনিবার দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন এই নায়িকা।
এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, ‘সবাই জানেন আমি মা হচ্ছি। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। গতকাল রাত পর্যন্ত আমি শুটিং করেছি। ডাক্তার আমাকে পুরোপুরি বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। অনাগত সন্তানের কথা ভেবে আমি কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরী আরও জানান, শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য কিছুদিনের মধ্যে ভারতে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তার।
কিন্তু নির্বাচন থেকে পরীমনির সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। এর মধ্যে আমরা কারও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি পাইনি। পরীমনির কোনো চিঠিও আমাদের হাতে আসেনি।
পরীমনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে অভিনেতা সাইমন সাদিক বলেন, পরীমনি যখন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন যে, তিনি অসুস্থ, তাই তাকে কলকাতা যেতে হবে চিকিৎসার জন্য। সেজন্য এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চান। তখনই আমি শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনারের কাছে এসে বলি। কিন্তু তখন আর সময় ছিল না প্রত্যাহার করার। তাই প্রত্যাহার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিধি অনুযায়ী পরীমনিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচনের ভোট আগামী ২৮ জানুয়ারি। এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।