এবার ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি!
নাফিজা আক্তার
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদ ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করেছেন স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। এতে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে তিনিসহ সন্তানদের নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ এনেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থানায় জিডি দায়ের করেন জাহানারা এহসান। এর একটি কপি সাদাকালো নিউজের হাতে এসেছে।
জিডি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েকে কারণে অকারণে শারীরিক-মানসিকভাবে হেনস্তা করে আসছেন মুরাদ হাসান। যথারীতি বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে একই কাজ করতে চাইলে জাহানারা এহসান জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান। এসময় পুলিশ বাসায় আসার কথা শুনে ঘর থেকে বের হয়ে যান ডা. মুরাদ। এ অবস্থায় নিজে এবং সন্তানদের ক্ষতির শঙ্কায় থাকার কথা উল্লেখ করেছেন ডা. মুরাদের স্ত্রী।
জাতীয় জরুরি সেবার এক কর্মকর্তা জানান, ‘ধানমন্ডি এলাকা থেকে পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে একজন নারী ফোন দিয়ে সহায়তা চান। আমরা ধানমন্ডি থানাকে কানেক্ট করি। তারা সেখানে গিয়ে জাহানারা এহসানকে থানায় নিয়ে আসেন।’
সম্প্রতি এক অনলাইন টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যেই এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয় তার। এসব ঘটনার জেরে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় মুরাদ হাসানকে।
ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসন থেকে দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক মাস পরই তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মুরাদ হাসানের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১০ অক্টোবর। ১৯৯০ সালে জামালপুর জেলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্টার মার্ক সহ প্রথম বিভাগ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকার নটরডেম কলেজে থেকে ১৯৯২ সালে স্টার মার্ক সহ প্রথম বিভাগ পেয়ে পাস করেন এইচএসসি।
ডা. মো. মুরাদ হাসান ২০০১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৪-২০০৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে প্লাস্টিক এবং প্রসাধনী অস্ত্রোপচার এর উপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনিং করেন মুরাদ। ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেডিয়েশন অনকোলজি’র বিষয়ে অর্জন করেন এম. ফিল ডিগ্রী।
ব্যক্তিগত জীবনে ডা: মো: মুরাদ হাসান, এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর সহধর্মীনি জাহানারা এহসানও পেশায় একজন চিকিৎসক।