লিটন-মিরাজের ঐতিহাসিক ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬২
লিটন কুমার দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঐতিহাসিক ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। লিটন দাস একাই করেন ১৩৮ রান।
শুধু তাই নয়, ২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। মিরাজ দলীয় ৩০ রানের আগে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান। তার ইনিংসটি ১২৪ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় সাজানো।
মিরাজের আগে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৯৮-৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের মঈন খান আট নম্বরে খেলতে নেমে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোশুয়া ডি সিলভা ও ইংল্যান্ডের চার্লি অ্যাবসোলম এই পরিস্থিতিতে অর্ধশতক হাঁকান।
তবে মঈন খান, জোশুয়া ডি সিলভা ও চার্লি অ্যাবসোলমকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন মিরাজ।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রানে অলআউট স্বাগতিক পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮, ৫৭ ও ৫৪ রান করে করেন সায়েম আইয়ুব, অধিনায়ক শান মাসুদ ও আগা সালমান। বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ ৬১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন। ৫৭ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে গতকাল ১০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেই মাত্র ১৬ রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে বাংলাদেশ হারায় প্রথমসারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট। একে একে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম অনিক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক সৌরভ, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাদের এই জুটিতেই বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। না হয় ৫০ রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল।
দলীয় ১৯১ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার আগে ১২৪ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় করেন ৭৮ রান। মিরাজ আউট হওয়ার ২ রান ব্যবধানে ফেরেন তাসকিন আহমেদ।
১৯৩ রানে ৮ উইকেট পতনের পর পেস বোলার হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। এই জুটিতেই তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি আর সবমিলে নবম সেঞ্চুরি হাঁকান।
লিটন ২২৮ বলে ১৩টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন। এরপর আর স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন পেস বোলার নাহিদ রানা। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।