টালিউডে সংসার ভাঙনের খবর
আরজি করকাণ্ডে উত্তাল কলকাতা উত্তাল ভারত। এর মাঝেই রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় গানে গানে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা সামাজিকমাধ্যমে জানালেন ব্যান্ডশিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এ বিচ্ছেদ নিয়ে অনিন্দ্যের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের একটি বিখ্যাত গান ‘জুজু সোনা’ তাদের ছেলের জন্মের আগের। বিচ্ছেদ ঘোষণার ক্ষেত্রেও মধুজার কণ্ঠে জুজুর কথা। তিনি বলেন, তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হলেও জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি। মধুজা রবিঠাকুরের গানকে সম্বল করেই লিখেছেন— ‘মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।’
বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ঘর ভাঙতে চলেছে গায়ক অনিন্দ্য ও মধুজার। যদিও প্রকাশ্যে অনিন্দ্য কখনো এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। আর স্ত্রী মধুজা বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা থেকে দূরে, মুম্বাইয়ে থাকা শুরু করেন। তবু এসবের মাঝেই তাদের একসঙ্গে ঘুরতেও গেছে। কিন্তু তারপরও আইনি বিচ্ছেদের পথেই এগোলেন এ দম্পতি।
স্ত্রী মধুজা লিখেছেন— অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯-এ জুজুকে নিয়ে মুম্বাই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এলো। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা আর অপমান দিল; কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। একসময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!
উল্লেখ্য, ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আরজি করকাণ্ডের চিকিৎসক নির্যাতনের প্রতিবাদের মাঝেই এবার তাদের ভাঙছে বিয়ে।