আন্তর্জাতিক মুক্তির আগেই বাংলাদেশের পর্দায় ‘দ্য ফল গাই’
আশির দশকের টিভি সিরিজ ‘দ্য ফল গাই’-এর কথা মনে থাকতে পারে অনেকের। অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারভিত্তিক এই মার্কিন সিরিজটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো সে সময়। এবার সেই ‘দ্য ফল গাই’ পর্দায় আসছে চলচ্চিত্ররূপে। সিরিজের নামেই থাকছে ছবির নাম। হলিউডের নির্মাতা ডেভিড লিচ পরিচালিত ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ৩ মে।
তবে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য চমকপ্রদ খবর হলো, আন্তর্জাতিক মুক্তির আগেই বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘দ্য ফল গাই’। ১ মে দেশে ছবিটি মুক্তি দিবে স্টার সিনেপ্লেক্স। তাই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশে^র অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশের দর্শকরা এ ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। অ্যাকশন-কমেডি ধাঁচের এই সিনেমার পরিচালক ডেভিড লিচ। জন উইক, অ্যাটমিক ব্লন্ড বা বুলেট ট্রেনের মতো অ্যাকশন ছবি পরিচালনার আগে লিচ নিজেই একজন স্টান্টম্যান ছিলেন। ম্যাট ডেমন কিংবা ব্র্যাড পিটের স্টান্ট ডাবল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
ছবিতে নির্মাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমিলি ব্লান্ট। ‘বার্বি’ তারকা রায়ান গসলিং এ সিনেমায় একজন স্টান্টম্যান চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই ছবিতে রায়ান গসলিংকে দেখা যাবে ওপেনহাইমার তারকা এমিলি ব্লান্টের সঙ্গে রহস্য সমাধান করতে। আরও অভিনয় করেছেন হ্যানা ওয়াডিংহাম, অ্যারন টেলর-জনসন, স্টেফানি সু এবং উইনস্টন ডিউক।
মুক্তির আগেই অন্যরকম এক রেকর্ড করে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি। সর্বাধিক ক্যানন রোলের (শূন্যে গাড়িকে চক্কর দেওয়ানো) রেকর্ড করে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে রায়ান গসলিং ও এমিলি ব্লান্টের আসন্ন ছবি ‘দ্য ফল গাই’। এই অ্যাকশন-কমেডি ছবিতে কাজ করা স্টান্ট ড্রাইভার লোগান হোলাডে একটি গাড়িতে সর্বাধিক ক্যানন রোল করে ভেঙ্গে দিয়েছেন এর আগের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ক্যাসিনো রয়েলের রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ছবিটির চিত্রগ্রহণের সময় হোলাডে একটি গাড়িতে মোট সাড়ে আট বার ক্যানন রোল করতে সক্ষম হন। আর এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ক্যাসিনো রয়েলের। ছবিটিতে স্টান্টম্যান অ্যাডাম কার্লি একসাথে সাতটি ক্যানন রোল করেন। পরিচালক লিচ এর আগে এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিকে বলেছিলেন, দ্য ফল গাই পুরো স্টান্ট স¤প্রদায়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরও বলেন, স্টান্ট ম্যান এবং পর্দার আড়ালের ক্রুরা মিলেই আসলে একটি ছবিকে পরিপূর্ণতা দান করে। সিনেমায় তাদের অবদান ও না বলা গল্প সবার সামনে তুলে ধরতেই এই ছবি তৈরি করা।
গল্পে দেখা যাবে, হলিউড স্টান্ট পারফর্মার কোল্ট সিভার্স, যিনি প্রাথমিকভাবে বিখ্যাত অ্যাকশন তারকা টম রাইডারের স্টান্ট ডাবল হিসাবে কাজ করেন। একটি স্টান্ট ভুল হওয়ার সময় গুরুতর আহত হন। নিজেকে দোষারোপ করে কোল্ট তার ক্যারিয়ার এবং তার বান্ধবী, ক্যামেরা অপারেটর জোডি মোরেনোকে পরিত্যাগ করেন। আঠারো মাস পরে কোল্ট এখন একটি ছোট মেক্সিকান রেস্তোরাঁর পরিচারক। টমের চলচ্চিত্র প্রযোজক গেইল মেয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেছেন যে মোরেনো তার প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন। গেইল প্রকাশ করে যে টম মাদকের সাথে জড়িত হওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং সে চায় কোল্ট তার অনুপস্থিতির কারণে চলচ্চিত্রটি বাতিল হওয়ার আগে তাকে খুঁজে বের করুক। জোডির পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ নষ্ট করতে না চাওয়ায় কোল্ট টমের হোটেল রুম এবং একটি নাইটক্লাব পরিদর্শন করে যেখানে সে মারামারি করে। হোটেল রুমে কোল্ট বরফ ভর্তি একটি বাথটাবে একটি মৃতদেহ দেখতে পায়, কিন্তু যখন সে পুলিশের সাথে ফিরে আসে, তখন লাশটি চলে যায়। এরপর আরও অনেক ঘটনা।