
নির্বাচন শেষে কোন পথে আওয়ামী লীগ-বিএনপি?
সাদাকালো নিউজ
বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বর্জন সত্ত্বেও ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে।
পাশাপাশি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বিএনপিও। কিন্তু তারপরেও নির্বাচনের আগে কয়েক মাসের সহিংস ঘটনাবলী ও পরিস্থিতির পর নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কতটা এলো সেই প্রশ্নও এখনো আলোচনায় আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে। তবে বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন পর্যন্ত হরতাল পালন করলেও নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ জাতীয় কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।
সবমিলিয়ে আপাতত দৃশ্যমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সরকারের সামনে না থাকলেও এতে করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে কি-না বা আসার ইঙ্গিত মিলছে কি-না সেই প্রশ্নও এখন বড় হয়ে উঠছে।
নির্বাচনের পর দ্রুততার সাথে সরকার গঠনের কাজ শেষ করলেও সরকারের শীর্ষ নেতাদের মুখ থেকেই নানা ধরনের চাপের কথা উঠে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। এখন তারা কী করে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে সরকার।
শপথ গ্রহণের পর রোববার প্রথম সচিবালয়ে অফিস করেছেন নতুন সরকারের মন্ত্রীরা। সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন সরকার দেশি–বিদেশি সব চাপ অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে।
তবে দলটির শীর্ষ নেতারা বারবারই বলেছেন যে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে।
তাদের অনেকেই মনে করেন বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন করে সরকার গঠন করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও অর্থনৈতিক সংকট না কাটলে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে যেতে পারে।
অপরদিকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন আপাতত বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আর যাচ্ছে না দলটি। এর মধ্যে কয়েকটি সমমনা দলের সঙ্গে নতুন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
এসব আলোচনায় নিজেদের সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়নের প্রসঙ্গ এসেছে, বিশেষ করে কয়েক দফা ক্ষমতায় থাকা বিএনপি কেন পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেয়েও চূড়ান্ত কূটনৈতিক বিজয় আনার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারল না- সেই প্রশ্ন এসেছে জোটসঙ্গীদের দিক থেকে।
এখন সরকার গঠন হয়ে যাওয়ায় দলটির নেতারা মনে করছেন স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জেলে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মীর মুক্তিই এখন আপাতত প্রাধান্য পাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতারা।