পাঁচ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই দিন বন্ধ ঘোষণা
সাদাকালো নিউজ
বৈরী আবহাওয়া, টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির’ সভা শেষে এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ জন্য বুধ-বৃহস্পতিবার এসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এর আগে, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছর মোট ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৫ শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে ১১ লাখ আট হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি, ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী আলিম এবং এক লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি বিএম, বিএমটি ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
মন্ত্রী জানান, গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন। এবারের পরীক্ষায় মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
পরীক্ষার মানবণ্টনের তথ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ) বিষয়ের পরীক্ষা হবে ৭৫ নম্বরে। এর মধ্যে লিখিত ৩০ নম্বর, এমসিকিউ ২০ এবং ব্যবহারিক নম্বর ২৫। এছাড়া অন্য সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে, পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। পরীক্ষা পেছানোসহ চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখ ১৭ আগস্টই শুরু হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।