স্কয়ার ফার্মার সাথে অ্যারিস্টোফার্মার চুক্তি
সাদাকালো নিউজ
বাজারে নিজেদের বিদ্যমান কয়েকটি পণ্যের বর্ধিত চাহিদা মেটানো এবং নতুন পণ্য বাজারে আনার লক্ষ্যে অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চুক্তি (চুক্তিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের চুক্তি) করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। গতকাল অনুষ্ঠিত স্কয়ার ফার্মার পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সভা থেকে পর্ষদের এক স্বতন্ত্র পরিচালককে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তথ্যানুসারে, এ চুক্তির আওতায় অ্যারিস্টোফার্মা তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পনিটির জন্য সেফালোস্পোরিন গ্রুপের পাঁচটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করবে।
এ বিষয়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের হিসাব ও অর্থ বিভাগের প্রধান কবির রেজা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের কারখানায় সেফালোস্পোরিনের বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ ওষুধের বাড়তি চাহিদাও রয়েছে, যা আমাদের বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা দিয়ে মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ওষুধের চাহিদা একটি পর্যায়ে না গেলে নতুন ইউনিট স্থাপন করাটাও লাভজনক হবে না। এ কারণে সেফালোস্পোরিন গ্রুপের পাঁচটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনের জন্য এ কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চুক্তি করা হয়েছে।’
এদিকে কোম্পানিটির পর্ষদ থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক এস এম রেজাউর রহমানকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনিবার্য কারণে এ পরিচালক কোম্পানিটিতে তার দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানানোয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কয়ার ফার্মা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুাসরে, সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নিট আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ হাজার ৩৭২ কোটি ২২ লাখ টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪২১ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির নিট আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৩৩ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ১৫ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে ৫২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে মোট ৪৯ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ নগদ ও বাকি ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।