হিরো আলমকে কেন মা’রলেন বস্তির নারীরা?
সাদাকালো নিউজ
নানা কারণে প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সেসব ঘটনার ভিড়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে। একই কারণে ফের আলোচনায় হিরো আলম। তৃতীয়বারের মতো তিনি ভোটের মাঠে। এক ধাপ এগিয়ে এবার তার চোখ ঢাকা-১৭ এর মতো অভিজাত আসনের দিকে।
আর এটাই হয়তো হিরো আলমের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে বস্তির নারীরা তার ওপর চড়াও হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলম। স্বঘোষিত এই হিরোর দাবি, দফায় দফায় তার ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হিরো আলম জানান, এদিন দুপুর ১২টায় মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গেট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে সাততলা বস্তিতে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় ২০ থেকে ২৫ জন নারী সদস্যের একটি দল তাকে বাধা দেয়। বস্তির বাসিন্দা পরিচয়ে কয়েকজন কিশোর এবং একাধিক ব্যক্তি এতে অংশ নেন।
ঘটনার এক পর্যায়ে আইসিডিডিআর,বি কমপ্লেক্সে আশ্রয় নেন হিরো আলম। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। গায়ে হাত তোলার ফলে জনসংযোগ স্থগিত ঘোষণা করে বিচার চাইতে তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ঘটনার সাথে জড়িতরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন হিরো আলম। তিনি জানান, সাততলা বস্তি এলাকায় জনসংযোগের সময় নারী বাহিনী দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।
অপরদিকে এই ঘটনায় অংশ নেয়া নারীরা জানান, হিরো আলম তাদের ওপর আগে চড়াও হয়েছে। এ কারণে তারা শুধুমাত্র প্রতিহত করেছে। এ সময় হিরো আলমকে একজন টিকটকার অভিহিত করে তারা বলেন, হিরো আলম এমপি নির্বাচনের কী বোঝেন? তার কী কোনো যোগ্যতা আছে এমপি নির্বাচন করার?
হিরো আলম বগুড়ার ছেলে। নিজ এলাকার মানুষের সমর্থনেই তিনি দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ভোটাররা ভালোবেসে তাকে ভোটও দেন। হিরো আলমের ভাষায়, ভোটাররা ক্রাশ খেয়েছিলেন তার উপর। কিন্তু ঢাকা-১৭ তার নিজের এলাকা নয়। এ আসনের গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্টের মতো অভিজাত এলাকাগুলোতে অভিজাত শ্রেণির মানুষের বসবাস। কাজেই প্রশ্ন উঠছে, বগুড়ার মতো গুলশান-বনানীর মানুষও কি হিরো আলমের উপর ক্রাশ খাবেন? তাকে ভোট আর সমর্থন দেবেন?
গেল ১৫ই মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশের পাড়ি দেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফারুক। ফলে আসনটি শুন্য হয়ে যায়। এই আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৭ই জুলাই।