বক্সিংয়ে বাইডেনেকে ধরাশায়ী করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
জহুরা প্রিতু
অনেক দিন হল, আলোচনার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বেশিদিন কি আর তিনি আলোচনার বাইরে থাকতে পারেন? একদমই না। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ করে আবারও আলোচনায় ট্রাম্প। বলেছেন, বক্সিং লড়াইয়ে বাইডেনকে তিনি হারাতে পারবেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর বাইডেনকে নিয়ে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ইভান্ডার হলিফিল্ড বনাম ভিটর বেলফোর্টের মধ্যকার বক্সিং লড়াইয়ের প্রচারণায় তিনি বলেন, বক্সিং লড়াই হলে বাইডেন খুব দ্রুতই তার কাছে ধরাশায়ী হবেন।
বক্সিং লড়াইয়ের ওই প্রচারণা অনুষ্ঠানে টেলিফোনের মাধ্যমে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তার এ মন্তব্য ঘিরে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এদিকে, নতুন রুপে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে বক্সিং ম্যাচে ধারাভাষ্যকর হিসেবে নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করলেন তিনি।
ব্রাজিলের সাবেক মার্শাল আর্টস ফাইটার ভিতর বেলফোর্ট এবং অবসরপ্রাপ্ত ফাইটার এভান্ডার হলিফিল্ডের মধ্যকার ম্যাচটিতে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করলেন ট্রাম্প।
ম্যাচটিতে খেলার কথা ছিলো অস্কার দে লা হয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছিটকে পড়েন তিনি। তাই তার জায়গায় হলিফিল্ড।
শুধু ট্রাম্প একা নন, তার ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রকেও দেখা গেছে ম্যাচটির ধারাভাষ্যে। এ বিষয়ে ভিডিও শেয়ারিং কোম্পানি ট্রিলারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তারা।
ধারাভাষ্যকার হিসেবে এ চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জানান, ‘তিনি কিংবদন্তি ফাইটারদের পছন্দ করেন। দুর্দান্ত ফাইটগুলো দেখতে ভালোবাসেন।
ট্রাম্পের ধারাভাষ্যকার হিসেবে উপস্থিত হওয়া ম্যাচটিতে খেলেছেন দুই চ্যাম্পিয়ন। ৫৮ বছর বয়সী হলিফিল্ড সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে ৪৪ বছর বয়সী বেলফোর্টের রয়েছে ইউএফসি লাইট হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ।
বক্সিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোগ বেশ পুরোনো। আশি-নব্বইয়ের দশকে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে নিজের ক্যাসিনোতে অনেক বক্সিং ম্যাচ আয়োজন করেছেন তিনি।
এদিকে ট্রিলারে এর আগে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বই ধারাভাষ্য দিয়েছেন। বিশ্বখ্যাত র্যাপ গায়ক স্নুপ ডগকেও দেখা গিয়েছিল ধারাভাষ্যে। এছাড়া গত এপ্রিলে কমেডিয়ান পেট ডেভিডসনও হাতে নিয়েছিলেন ধারাভাষ্যকারের মাইক।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ খোয়ানোর পরে শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য তিনি এই বক্সিং প্রতিযোগিতায় কমেন্ট্রি করেছেন। তিনি রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে। আফগানিস্তান থেকে বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি থাকলে এমন হত না। তিনি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে জঙ্গি হানায় নিহত মার্কিন সেনা জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলিও জানান।