ভিপি নুরের পকেটে মোসাদের টাকা গণ অধিকারের বৈঠকে তোলপাড়!
সাদাকালো নিউজ
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বৈঠক নিয়ে তার রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদে চলছে তুলকালাম। মোসাদের কাছ থেকে ভিপি নুর নাকি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলেছে খোদ তারই দলের সদস্যরা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণঅধিকার পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে তোলপাড় হয়ে গেছে। বৈঠক শেষে নুরের দলের সদস্যরা দাবি করেন, মোসাদের কাছ থেকে দলের নামে তহবিল এনে কাতারেই এক প্রবাসীর গাড়ি ব্যবসায় সেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন নুর। শুধু তা-ই নয়, নুরের বিরুদ্ধে দেশের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেয়া, বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ, দলের জন্য প্রবাসীদের দেয়া টাকার হিসাব না দেয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন দলের বেশ কয়েকজন নেতা।
সূত্র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৫৫ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বাসায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের বৈঠক বসে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
বৈঠকে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়া নুরুল হক নুরের ইসরায়েলি এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জানান, গণঅধিকার পরিষদের নামে বিদেশ থেকে আসা টাকার হিসাব কোথায়? কেন ইসরায়েলি মেন্দি এন সাফাদি ও তার বাংলাদেশি বন্ধু শিপন কুমার বসুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন নুর?
রেজা কিবরিয়া নুরের উদ্দেশে বলেন, দুবাইয়ে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে মিটিং করতে নুর ট্যাক্সি দিয়ে যাননি। তাকে দুবাইয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেছেন। তারাই জানিয়েছেন, মিটিং শেষে নুর একটা কালো ব্যাগ নিয়ে ফিরেছেন। তবে কালো ব্যাগে কী ছিল, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেন নি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, এতো গাড়ি নূর কোথায় পায়? তার কি কাতারে গাড়ীর ব্যবসা রয়েছে? এছাড়া নিয়ম অনুসারে প্রবাসের কমিটি দুজনের দেয়ার কথা। কিন্তু সেটা না করে নুর সব কমিটি একাই করেছে। পাশাপাশি লাখ লাখ টাকা আসে, সেই টাকা নুর দলেও দেয় না, তাহলে কী করে?
এসব বিষয়ে নুর তার বক্তব্যে সাফাদির কাছ থেকে টাকা আনার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তবে জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে দলের জন্য টাকা আনেন তিনি। কাতারে তার কোনো গাড়ির ব্যবসাও নেই। সেখানে পরিচিত একজন ব্যবসায়ীর গাড়ির শোরুম রয়েছে, তার সঙ্গে শুধু দেখা করেছিলেন মাত্র।
এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে চলা তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়ার দিকে তেড়ে যান নুরের অনুগত দলের কয়েকজন নেতা। এ অবস্থায় রেজা কিবরিয়া বৈঠক ছেড়ে চলে যান। এরপর রেজা কিবরিয়ার প্রতি অনাস্থা এনে রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করা হয়।