আফছারুলের আসনে আ.লীগের প্রার্থী কে?
সাদাকালো নিউজ
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের উত্তরসূরি হতে এরই মধ্যে নানামুখী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত এক ডজন নেতা; যাঁদের মধ্যে প্রবীণের পাশাপাশি আছেন তরুণ নেতাও।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত দোশরা জুন চট্টগ্রামের তিনবারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন। তাঁর প্রয়াণে আসনটিতে ৮ জুন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তপশিল ঘোষণার পর নির্বাচনের মাঠ পর্যায়ের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছেন চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থী ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী নেতা ও যোগ্য লোককেই নৌকার টিকিট দেয়ার কথা বলছেন চট্টগ্রাম ও দলের শীর্ষ নেতারা।
ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনের টিকিট পেতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলম, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, প্রয়াত আফছারুল আমীনের বড় ছেলে ফয়সাল আমীন, আওয়ামী লীগের সংগঠক এমএ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদসহ আরও কয়েকজনের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে।
কে পাচ্ছেন নৌকার টিকিট– এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা অনেকেই প্রকাশ করতে পারেন। এর অধিকার আছে সবার। তবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারও হয়তো এমন কোনো চমক থাকতে পারে। তবে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী ও যোগ্য নেতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও পরিচ্ছন্ন কোনো নেতার হাতে উঠতে পারে নৌকার টিকিট।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে ফরিদ মাহমুদ বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে অনেক বছর ধরেই মানুষের কল্যাণে নিজের উদ্যোগে সমাজসেবামূলক কাজ করছেন। বড় কোনো দায়িত্ব পেলে কাজটা আরও ব্যাপকভাবে করতে পারবেন তিনি। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলছেন, এই আসনে বিভিন্ন কাজ করায় তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও তিনি এখানে দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবারও চাইবেন।
তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই বলছেন, এটি নামেই একটি নির্বাচন হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি মাত্র কয়েক মাস দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকার লক্ষ্য নিয়েই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন হবে ৩০ জুলাই। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীরা চৌঠা জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়ন বাছাই হবে ৬ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। এরপর হবে প্রতীক বরাদ্দ।